Topics: Advaced Civil Engineering Works [Retrofitting Work]
Part: 1
=====================================================================================
Retrofitting কি?
পুরাতন কাঠামোকে বিনষ্ট না করে হালকা মডিফাইং এর মাধ্যমে অধিক শক্তিশালী করার আধুনিক প্রকৌশলকে Retrofitting বা রেটোফিটিং ওয়ার্ক বলে।
ইহাকে আপনি আন্ডার পাইনিং এর আপডেট ভার্সনও বলতে পারেন, আন্ডার পাইনিং এ আমরা জেনেছি পুরাতন ভিত্তিকে মজবুত করার কথা, আর রেট্রোফিটিং এর মাধ্যমে আপনি Existing কাঠামোকে না ভেঙেই ভিত্তি, বিম, কলাম এমনকি ছাদকেও মডিফা্ই করে অধিক লোড বহনক্ষম করতে পারেন [100% এর অধিক লোড বহন উপযোগী করা সম্ভব]।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Retrofitting কখন করা হয়?
☑ যখন Existing ভবনকে অধিক ভারবহন ক্ষমতাসম্পন্ন করার প্রয়োজন পড়ে। অর্থ্যাৎ কোন সেকশনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজন হলে।
☑ যদি কাঠামোতে কোন কারনে ক্রাক বা ফাটল চলে আসে।
☑ যখন অপ্রত্যাশিত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন অগ্নি, সাইক্লোন, ভূমিকম্প ইত্যাদির কারণে কাঠামোর কোন অংশের আংশিক বা পুরোপুরি বিনাশ সাধিত হলে।
☑ বর্তমানের মেশিন ফাউন্ডেশনকে রিপেয়ারিং বা মজবুত করার প্রয়োজন হলে।
☑ ভবন ব্যবহারের ধরন পরিবর্তনের দরকার হলে, অর্থ্যাৎ বর্তমানের আবাসিক ভবনকে যদি কমার্শিয়াল মার্কেট, হাসপাতাল কিংবা গুদামঘর ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে।
☑ ক্ষেত্র বিশেষে কাঠামোকে ওয়াটার প্রুফিং করার প্রয়োজন পড়লে।
☑ কিংবা বর্তমান কাঠামোকে উপরের দিকে বর্ধিত করতে চাইলে আপনাকে রেট্রোফিটিং নামক কৌশলের দারস্থ হতে হবে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কিভাবে Retrofitting করা হয়?
আমার জানামতে আমাদের দেশে তিনটি পদ্ধতিতে রেট্রোফিটিং এর কাজ করা হয়:-
☑️ Strengthening by Increasing Additional Steel & Concrete:-
1. Jacketing of Column.
2. Jacketing of Beam.
3. Jacketing of Beam & Column.
4. Strengthening of Individual Column Footing.
5. Adding Additional Structure [Like Shear Wall/ Column]
এই পদ্ধতিতে Existing কাঠামোর বহিঃস্থ আবরণ থেকে স্বল্প পুরুত্বের কিছুটা কংক্রিট তুলে ফেলা হয়, যা মূলত: বিদ্যমান কাঠামো ও নতুন কংক্রিটের মধ্যে উত্তম বন্ডিং সৃষ্টির জন্য করা হয়ে থাকে।
তারপর ইহার চারপার্শ্বে Analysis & Design অনুসারে এক্সটা রিইনফোর্সমেন্ট [High Strength Steel] প্রদান করে অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাইন্ডিংস ম্যাটারিয়ালস দ্বারা
#Micro Concreting করা হয়।
এই পদ্ধতিতে [বিশেষ করে কলামে] এক্সটা স্টিল হিসেবে রিইনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি অনেক সময় STEEL PLATE, MS PIPE, I-BEAM/ JOIST ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় যদি কাঠামোকে অধিক স্ট্রেন্থ বহন করার প্রয়োজন পড়ে।
কলাম/বিম/ ফুটিং এ যে রডগুলোকে ড্রিল করে ফিক্সিং করা হয় তাকে
#Shear Reinforcement বলে, যেখানে রডের ডায়া অনুসারে [ডায়া থেকে ±5mm বর্ধিত রাখা হয়] নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের ছিদ্র করে তাতে উচ্চ বন্ডিং ক্ষমতা সম্পন্ন কেমিক্যালকে [Concrete Anchoring Adhesive] ইনজেক্টিং করে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে রডগুলোকে ফিক্সিং করে দেওয়া হয়, যাকে Rebar Anchoring বলা হয়ে থাকে।
Rebar Anchoring & Binding শেষে Existing খোদাইকৃত সারফেস কে পরিষ্কার করে এক কোট Bonding Agent এর প্রলেপ দিয়ে সাটারিং করে ফেলা হয় এবং সর্বশেষে Micro Concreting করা হয়ে থাকে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
✔️ Modifying Retrofitting এর কাজে যা ব্যবহৃত হয়ে থাকে:-
✅ Epoxy Based Anchoring Adhesive:-
Rebar Anchoring বা ফিক্সিং এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো এটা, এখানে Existing কাঠামোর মধ্যে কোর ড্রিলিং করে Rebr কে Anchoring Adhesive এর সাহায্যে ফিক্সিং করে দেওয়া হয়, যা কংক্রিট ও স্টিলের মধ্যে অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বন্ড স্ট্রেস [Minimum Tensile Strength 72.5 ksi বা 500 MPa] সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
♦️ সতর্কতা সমূহ:-
☑ Core Drilling বা ছিদ্র গুলোকে ভালভাবে পরিষ্কার ও শুষ্ক করতে হবে, এর ভিতরে কোন প্রকারের ধুলা/বালি/ময়লা কিংবা পানি থাকতে পারবেনা।প্রয়োজনে ব্লোয়ারের সাহায্য গর্ত থেকে ময়লা ও পানি তুলে ফেলতে হবে।
☑ ইন্জেক্টিং এর মাধ্যমে এ্যাডহেসিভকে প্রবেশের সাথে সাথে রডকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রবেশ করিয়ে ফিক্সিং করতে হবে, প্রাথমিক সেটিং এর পর কোন ভাবেই নাড়ানো যাবেনা।
☑ ফাইনাল সেটিংস এর পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করতে হবে।
☑ কোরের ভিতরে এ্যাডহেসিভ প্রবেশের জন্য রডের ডায়া থেকে কোর ডায়া কিছুটা বেশি রাখতে হবে।
................................................................................................................................................................................
✅ Bonding Agent:-
যার প্রধান কাজ হচ্ছে বিদ্যমান সারফেসের সাথে নতুন কংক্রিট স্তরের মাঝে উত্তম বন্ডিং সৃষ্টি করা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বন্ডিং এজেন্ট পাওয়া যায়, যেগুলো তরল কিংবা হালকা পেষ্ট জাতীয় হয়ে থাকে।
♦️ সতর্কতা সমূহ:-
☑ বন্ডিং এজেন্ট লাগানোর পূর্বে অবশ্যই, অবশ্যই আপনাকে বিদ্যমান খোদাইকৃত সারফেস থেকে সব লুজ পার্টিক্যাল তুলে ফেলতে হবে, কোন প্রকারের ধুলা বা লুজ পার্টিক্যাল বা কংক্রিট থাকা যাবেনা এবং সারফেসকে সবর্দা শুকনা রাখতে হবে।
☑ বন্ডিং এজেন্ট লাগানোর অল্প সময়ের মধ্যেই কংক্রিটিং করে ফেলতে হবে, এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে বন্ডিং এজেন্টের উপরে যেন কোন ধুলা/বালি/ ময়লা জমতে না পারে।
................................................................................................................................................................................
✅ Micro concreting:-
যা উচ্চ চাপ ও টান ক্ষমতা সম্পন্ন সিমেন্ট বেইজড বাইন্ডিং ম্যাটারিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়, বাজারে যা Non-Shrinkage Grouting নামে 25 Kg ব্যাগ আকারে পাওয়া যায়।
By 28 days ইহার স্ট্রেন্থ সমূহ;
Compressive Strength 50-80 N/mm2,
Tensile Strength 2.0-3.0 N/mm2,
Flexural Strength 5.0 N/mm2 চলে আসে।
এই Non-Shrinkage Grouting কে ফাটল থেকে রক্ষা করতে এবং আরো অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন করতে ইহাতে 15%-30% [ Weight of Grout] 6mm ডাউন সাইজেস Stone Chips [
#পাই পাথর] প্রদান করা হয়, এই কংক্রিট খুব অল্প সময়ের মধ্যেই [2-4 ঘন্টায়] ফাইনাল সেটিং এ উপনীত হয়ে যায়।
Micro Concrete ম্যানুয়্যালি কিংবা মিক্সার মেশিন উভয়ের মাধ্যমেই প্রস্তুত করা যায়, তবে ভাল মিক্সিং এর জন্য Mixture Machine উত্তম।
♦️ সতর্কতা সমূহ:-
☑ এগুলো নন-স্রিঙ্কেজ বলে [হার্ড বা শক্ত হবার পর যা সংকুচিত হয় না] ভাইব্রেটিং এর প্রয়োজন হয়না, যা গ্রাভিটি ফোর্সের কারনে নিজে নিজেই সকল জায়গায় পৌঁছে যায়। যার দরুন নির্দিষ্ট অনুপাতের চেয়ে কোন ভাবেই বেশি পানি দেওয়া যাবেনা বা খুব বেশি তরল করা যাবেনা।
☑ যদিও ভাইব্রেটিং এর প্রয়োজন হয়না, তারপরও সম্ভব হলে রড বা সরু বাশ দিয়ে হালকা ভাইব্রেটিং করতে হবে। কোন ভাবেই লিকেজ রাখা যাবেনা, তাহলে সেখান দিয়ে সব বের হয়ে আসবে।
☑ মিক্সিং এর পূর্বে পাথরগুলোকে ভালভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে করে কোন ময়লা না থাকতে পারে। হ্যান্ড মিক্সার মেশিন ব্যবহার করলে সম্পূর্ন মিক্সিং না হওয়া পর্যন্ত মেশিন চালাতে হবে, না হলে দেখা যাবে পাত্রের নিচের দিকে মসলা শুকনা রয়ে গিয়েছে।
☑ এগুলো ব্যবহারে অধিক তাপের সৃষ্টি হয় বিধায়, কাস্টিং শেষের ৬ ঘন্টার মধ্যেই কিউরিং করতে হবে, সব সময় ভিজা চট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
Md Al Amin (আল-আমিন)
Senior Engineer Civil. at BSRM
Studied B.Sc in Civil Engineerig at University of Information Technology & Sciences - UITS
Comments
Post a Comment